বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : একুশে পদকে পেয়েছেন মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে (মরণোত্তর) এ সম্মানে ভূষিত করা হয়। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিবিদ।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে সৈয়দ নাজিব মুজতবা পদক গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ২০২১ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত হন। তাঁকে মরণোত্তর এ সম্মাননা দেয় ভারত সরকার।
প্রখ্যাত রম্য লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাতিজা সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর জন্ম ১৯৪৪ সালে। বাড়ি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে। বড় ভাই এসএম আলী ছিলেন ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।
১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে কর্মরত অবস্থায় বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন মোয়াজ্জেম আলী। এরপর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে ভুটান, ইরান ও ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন মোয়াজ্জেম আলী। ওয়াশিংটন, ওয়ারশ, জেদ্দার পাশাপাশি নয়া দিল্লি মিশনেও তিনি কাজ করেছেন।
মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে ইউনেস্কোর কাছে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস খসড়া প্রতিবেদন দিয়ে ভাষা আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ভূমিকা রাখেন।
পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে অবসরে যান পেশাদার এই কূটনীতিক। পরে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার তাকে কূটনৈতিক দায়িত্বে ফিরিয়ে এনে হাই কমিশনার করে দিল্লি পাঠায়। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় ওই দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি তিনি দেশে ফেরেন।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।